এ বিষয়টি একে বারে নতুন তা নয় । গত শতাব্দী শেষের দিকে ব্লগিং এর যাত্রা শুরু হয়। বিভিন্ন ধরনের ওয়েব সাইটে নিজস্য মতবাদ, শিক্ষা, গবেষণা, ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংবাদ উপস্থাপন করা হত। Jorn Barger (জর্ন বার্জার) ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে অনলাইন বা ওয়েব সাইট এই লেখার কাজকে "weblog" বলে আখ্যায়িত করেন।
weblog শব্দটি খুবই যুক্তি যুক্ত ছিল। log এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে লিপি বদ্ধ বা রেকর্ড কৃত লেখা, এবং web দিয়ে ওয়েব সাইটকে বুঝান হয়ছে। তাহলে, বিষয়টা দাড়ালো ওয়েব সাইটে লেখা সম্পাদনা করা। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে Peter Merholz রহস্যচ্ছলে সমসাময়িক নিয়ম ভেঙ্গে "weblog" কে আরোও একটু ছোট আকারে "blog" বলে আখ্যায়িত করেন।
যিনি ব্লগে লেখেন বা পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন। সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতার একটা জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠছে। এছাড়াও ফ্রীল্যান্সার-রা আউটসোর্সিং এর কাজে ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করছে। সাম্প্রতিক বিষয় বস্তু নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগার-রা তাদের ব্লগ নিয়মিত আপডেট করে থাকেন ।
অধিকাংশ ব্লগই নির্দিষ্ট বিষয়সম্পর্কিত তথ্যের ধারাবিবরণী পরিবেশন ও আপডেট করতে থাকে। অনেক সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, সাংবাদিক, এমনকি অপেশাদার ব্যক্তি ব্লগিং এর মাধ্যমে নিজস্ব মত প্রকাশ করে থাকে। অধিকাংশ ব্লগেই গবেষণা বা সংবাদ ধর্মী লেখায় পরিপূর্ণ থাকে। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে ব্লগ-কে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন; আর্ট, ফটো, ভিডিও, সঙ্গীত, অডিওর পডকাস্টিং, বিসনেস, মার্কেটিং, হেলথ, টিউটোরিয়াল, এমনি আরোও অসংখ সব ব্লগ। টেকনোরাট্টি (technorati.com) ফেব্রুয়ারী, ২০১৪-এর হিসেবে, প্রায় তের কোটির বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে।

No comments:
Post a Comment